Academy

আবির ও আরিফ দুই বন্ধু। সম্প্রতি আরিফ জানতে পেরেছে যে, আবির ইয়াবার নেশায় আসক্ত। আরিফ আবিরকে এই নেশা হারাম বলে ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু আবির তাতে রাজি হয় না এবং আরিফের সাথে সে খারাপ ব্যবহার করে। আবিরের একটাই যুক্তি কুরআন-হাদিসে ইয়াবার কথা বলা নেই ।

আবির ইসলামি আইনের কোন উৎসটি অস্বীকার করেছে? ব্যাখ্যা করো। (প্রয়োগ)

Created: 1 year ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

আবির ইসলামি আইনের চতুর্থ উৎস কিয়াসকে অস্বীকার করেছে। কুরআন মাজিদ অথবা সহিহ হাদিসকে আছল ধরে নবোদ্ভাবিত সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াই হলো কিয়াস। কিয়াসের মাধ্যমে এমন সমস্যার সমাধান করা হয়, যার সমাধান কুরআন বা হাদিসে সরাসরি নেই কিন্তু সমাধানের মূলনীতি বা ইঙ্গিত রয়েছে। এ রকম একটি মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা আবিরের ইয়াবা সেবনকে হারাম বলতে পারি।

কুরআন-হাদিসে সরাসরি ইয়াবা সেবন হারাম এই কথা নেই বলে আবির ইয়াবার নেশা ছাড়তে অস্বীকার করে। আবিরের যুক্তি আপাত দৃষ্টিতে সঠিক হলেও পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মদকে হারাম ঘোষণা করেছেন। মূলত মদের মাদকতার জন্যই এটি হারাম। মদ্যপানের ফলে মানুষের চেতনা লুপ্ত হয়। একইভাবে ইয়াবাও মদের ন্যায় অভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ কারণে কিয়াসের আলোকে মদ্যপানের ন্যায় ইয়াবা সেবনও হারামের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কিয়াসের হুকুম ইয়াবাসহ হেরোইন, কোকেন বা গাঁজার মতো সব নেশাজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সুতরাং বলা যায়, আবির ইয়াবার নেশা ছাড়তে রাজি না হয়ে কিয়াস দ্বারা প্রমাণিত বিষয়েরই বিরোধিতা করেছে।

1 year ago

ইসলাম শিক্ষা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

কিয়াস ইসলামি শরিয়তের চতুর্থ উৎস হিসেবে কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা স্বীকৃত বলে এটি ছাড়া ইসলামকে সম্পূর্ণ জীবনব্যবস্থা বলা যায় না। কিয়াস ব্যতীত ইসলাম একটি গতিহীন ও সংকীর্ণ জীবনাদর্শে পরিণত হয়। ফলে সব দেশের ও সব কালের দাবি মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিয়াসই ইসলামকে সর্বকালীন ও সর্বজনীন জীবনাদর্শে পরিণত করে। এ কারণেই কিয়াসকে ইসলামি শরিয়তের উৎস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং এটি ইসলামকে পূর্ণতা দান করেছে।

১নং প্রেক্ষাপটে রাকিবের পিতার উপদেশে ইসলামের দ্বিতীয় উৎস তথা হাদিসের প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। হাদিস অর্থ কথা বা বাণী। ইসলামি পরিভাষায়, হাদিস বলতে মহানবি (স)-এর বাণী, কর্ম ও মৌন সম্মতিকে বোঝায়। হাদিস হলো শরিয়তের দ্বিতীয় উৎস। এটি আল-কুরআনের মূলনীতিসমূহের বাস্তবরূপ ও ব্যাখ্যা। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা যে জীবনবিধান ও আদর্শ উপস্থাপন করেছেন সাধারণ মানুষের পক্ষে সব সময় তা বোঝা সম্ভব নয়। সেজন্য এথেকে তাদের উপকৃত হওয়া কষ্টকর। হাদিসে কুরআনের বক্তব্যসমূহকে সর্বসাধারণের উপযোগী করে পরিবেশন করা হয়েছে। হাদিসকে তাই কুরআনের ব্যাখ্যা গ্রন্থও বলা হয়। মূলত কুরআন ও হাদিস দুটি ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থ হলেও একটি অপরটির পরিপূরক। হাদিস ছাড়া যেমন কুরআন বোঝা সম্ভব নয় তেমনি কুরআন ছাড়াও হাদিসের নিজস্ব কোনো মান নেই।

১নং প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, রাকিব ফজর নামাজের পর দৈনিক অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন। এ প্রেক্ষিতে তার পিতা বলেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কুরআনের পাশাপাশি এর সম্পূরক শিক্ষা হিসেবে দ্বিতীয় উৎসও রীতিমত অধ্যয়ন করতে হবে। অর্থাৎ তিনি এখানে কুরআনের পাশাপাশি শরিতের দ্বিতীয় উৎস হাদিস অধ্যয়নের কথা বলেছেন। সুতরাং বলা যায়, রাকিবের পিতার উপদেশে হাদিস অধ্যয়নের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

২নং প্রেক্ষাপটে জনাব আবিরের কর্মটি হলো কিয়াস। যা কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে সমর্থনযোগ্য। কিয়াস শব্দের অর্থ পরিমাপ, অনুমান বা তুলনা করা। কিয়াস হলো ইসলামি আইন প্রবর্তনের একটি পদ্ধতি। মানুষের গতিশীল জীবনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব ঘটে। এ সমস্যাগুলোর সমাধান সরাসরি কুরআন ও হাদিসে পাওয়া না গেলে সাদৃশ্যপূর্ণ বিধান দ্বারা নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করাই হলো কিয়াস।

২নং প্রেক্ষাপটে জনাব আবির কুরআন-হাদিস গবেষণা করে নিজের চিন্তা বিবেক-বুদ্ধি খাটিয়ে আধুনিক যুগের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানকল্পে একটি পাণ্ডুলিপি রচনা করেন। এখানে কিয়াসের কথাই বলা হয়েছে। কিয়াস আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স) এর নির্দেশিত ও নির্বাচিত বিষয়। মুসলিম জাতিকে আল্লাহ তায়ালা   فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَارِ  অথ ঃ 'অতএব, হে দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন মানুষেরা, তোমরা চিন্তা ও গবেষণা করো' (সুরা আল হাশর: ২)। আবার কিয়াস রাসুল (স) এর পছন্দনীয় পদ্ধতি। হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা) কে ইয়েমেনের বিচারক হিসেবে প্রেরণ করার সময় কীভাবে বিচার ফয়সালা করবে? এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুয়াজ (রা) কুরআন-হাদিসের পর নিজের ব্যক্তিগত গবেষণার আলোকে বিচার ফয়সালা করার কথা বলেন। তাঁর এ জবাবে রাসুল (স) অত্যন্ত খুশি হন।

পরিশেষে বলা যায় যে, কিয়াসের বিধান কুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই আবিরের কাজটি কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে সমর্থনযোগ্য।

5 'মারাতিবুল ইজমা' কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 1 year ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

সময়কাল এবং ইজমা সংঘটনের প্রকৃতি বিবেচনায় ইজমার স্বতন্ত্র স্তরবিন্যাসই 'মারাতিবুল ইজমা'।

কিয়াস ইসলামি আইনের চতুর্থ উৎস। কুরআন-মাজিদে কিয়াসের স্বীকৃতি রয়েছে। ইসলামি আইনের উৎস হিসেবে কিয়াস কোনো নতুন সংযোজন নয়। রাসুল (স)- এর যুগে কিয়াসের উৎপত্তি ও বিকাশ ঘটে। তিনি নিজে কিয়াস করার জন্য সাহাবি (রা)-দের বিশেষ উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর সাহাবিগণ কিয়াসের স্বাধীন প্রয়োগের মাধ্যমে একে ইসলামি আইনের চতুর্থ উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন-

فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَارِ

অর্থ: হে চক্ষুষ্মাণগণ, তোমরা শিক্ষাগ্রহণ কর (সুরা আল-হাশর: ২)।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...