আবির ও আরিফ দুই বন্ধু। সম্প্রতি আরিফ জানতে পেরেছে যে, আবির ইয়াবার নেশায় আসক্ত। আরিফ আবিরকে এই নেশা হারাম বলে ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু আবির তাতে রাজি হয় না এবং আরিফের সাথে সে খারাপ ব্যবহার করে। আবিরের একটাই যুক্তি কুরআন-হাদিসে ইয়াবার কথা বলা নেই ।
আবির ইসলামি আইনের চতুর্থ উৎস কিয়াসকে অস্বীকার করেছে। কুরআন মাজিদ অথবা সহিহ হাদিসকে আছল ধরে নবোদ্ভাবিত সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াই হলো কিয়াস। কিয়াসের মাধ্যমে এমন সমস্যার সমাধান করা হয়, যার সমাধান কুরআন বা হাদিসে সরাসরি নেই কিন্তু সমাধানের মূলনীতি বা ইঙ্গিত রয়েছে। এ রকম একটি মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা আবিরের ইয়াবা সেবনকে হারাম বলতে পারি।
কুরআন-হাদিসে সরাসরি ইয়াবা সেবন হারাম এই কথা নেই বলে আবির ইয়াবার নেশা ছাড়তে অস্বীকার করে। আবিরের যুক্তি আপাত দৃষ্টিতে সঠিক হলেও পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মদকে হারাম ঘোষণা করেছেন। মূলত মদের মাদকতার জন্যই এটি হারাম। মদ্যপানের ফলে মানুষের চেতনা লুপ্ত হয়। একইভাবে ইয়াবাও মদের ন্যায় অভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ কারণে কিয়াসের আলোকে মদ্যপানের ন্যায় ইয়াবা সেবনও হারামের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ কিয়াসের হুকুম ইয়াবাসহ হেরোইন, কোকেন বা গাঁজার মতো সব নেশাজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সুতরাং বলা যায়, আবির ইয়াবার নেশা ছাড়তে রাজি না হয়ে কিয়াস দ্বারা প্রমাণিত বিষয়েরই বিরোধিতা করেছে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?